“..যে শাখায় ফুল ফোটে না, ফল ধরে না একেবারে,
তোমার ওই বাদল-বায়ে দিক জাগায়ে সেই শাখারে।..”
কবির কিছু গান বারবার শুনি,আর মাঝেমাঝেই চেনা গান কেমন অচেনা অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়।আজ এই লাইন’গুলো শোনার সময় এক অদ্ভুৎ ভাবনা মাথায় এলো–জানি না আমার জীবিকার জন্য কি না!
অনেকদিন ধরেই ইনফার্টিলিটির চিকিৎসা করার জন্য অনেক ছেলে-মেয়েদের সাথেই আলাপ হয়,তারা ধীরে ধীরে ‘আপনজন’ হয়ে ওঠে।কখনই তাদের আর শুধু ‘রুগী’ বলে মনে হয় না।অনেকের সাথেই গল্প করতে করতে বেরিয়ে আসে,’তাদের মন কেমনের কথা’-সে কাকদ্বীপের জেলের বউ হোক্ বা কলকাতার জেলারের বউ!কেউ বুঝে কেউ না বুঝে,এই অপূর্ণতাকে এক বাসিকাপড়ের গন্ধের মতো গায়ে জড়িয়ে ঘোরে।
সব শাখা হয়তো ফুলে ফলে ভরে ওঠে না,কেউ বসন্তে কচি পাতায় ভরে ওঠে,কারোর বা শীতের শুকনো ডালে ছোট্ট বাচ্চা পাখি এসে বসে-গান গায়।কেউ হয়তো ঝড়ে বাসা ভেঙে পড়ার সাক্ষী,ডিম ভেঙে যাওয়া এক ‘মা’ না হতে পারা পাখি ডাল খুটতে খুটতে জানায় তার মনের ব্যাথা।দুই সই একে অপরকে জড়িয়ে চোখের জল না ফেলেও কেঁদে ওঠে।সেই ডাল’ও আবার তিরতিরে হাওয়ায় দুলে ওঠে,ঝিরঝিরে জলে নেচে ওঠে।
ভালোবাসা কতো রূপে কতো ভাবে প্রকাশ পায়।তাই যদি কেউ প্রশ্ন করে,”মন কেমন?”চোখ বুজে হেসে উত্তর দেব,”ভালোবাসায় ভরা”!
“..নিশিদিন এই জীবনের সুখের ‘পরে দুখের ‘পরে
শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে।..”
ইন্দ্রনীল
Wonderfully scripted! Pleasant read indeed 🙏
মনটা খুব খাবার ছিলো একটু ভালো লাগলো লেখা টা পড়ে ধন্যবাদ স্যার বাংলাদেশ থেকে আমি, আপনার সাথে দেখা করতে চাই। আমার wife k নিয়ে