আপনিও কি সন্তান ধারণের কথা ভাবছেন?

আপনিও কি সন্তান ধারণের কথা ভাবছেন?

স্বামী, স্ত্রী মাত্র পাঁচটা দিকে নজর দিলেই কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে পারেন। এক নজরে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

১) স্বামী, স্ত্রী দুজনেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। সন্তানের পরিকল্পনা করার পরেই দুজনই ধূমপানের বদভ্যাস ত্যাগ করুন। কারণ ধূমপানের প্রভাবে pregnancy র সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। মদ না খাওয়াই ভালো। একান্তই খেতে হলে মহিলাদের সপ্তাহে ১-২ পেগ আর পুরুষদের ৪ পেগ। নজর দিন চেহারার দিকেও। বেশি রোগা বা মোটা হলেই বিপদ। কাজেই বডি মাস ইনডেক্স(BMI ) যাতে ১৯-২৫এর মধ্যে থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখুন। বিএমআই ৩০ এর বেশি হলে সন্তান ধারণে দেরি হয় বা Miscarriage এর সম্ভাবনা বাড়ে। কাজেই ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া, শরীরচর্চা ও ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিলে শরীর সন্তানধারণও অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

২) সাধারণত ovulation হয় পিরিয়ডের ১৪ দিন আগে। তবে প্রতি মাসেই যে একভাবে হবে তা নয়। যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় তাঁদেরও এই সময়ের হেরফের হতে পারে। ঠিকঠাক সময়টা জানার জন্য অনেকে ovulation kit ব্যবহার করেন বা পিরিয়ডের দিন হিসেব করে timed intercourse করেন। এতে স্ট্রেস বেড়ে যায় এবং অনেক সময়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিও দেখা দেয়। কাজেই কোনও চাপ না নিয়ে সপ্তাহে ২-৩ বার শারীরিক মিলন হলেই যথেষ্ট। অনেক দম্পতিই শারীরিক মিলনের সময় নানা রকম পজিশন পছন্দ করেন। পজিশন, মিলনের পর দীর্ঘ বিশ্রাম কিংবা orgasm প্রেগন্যান্সিতে কোনও প্রভাব ফেলে না। তবে মিলনের সময় লুব্রিকেন্ট ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এতে Sperm বা শুক্রাণুর ক্ষতি হয়।

৩) যদি Diabetes বা thyroid এর সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসা করে আগে সব নিয়ন্ত্রণে আনুন। তারপর pregnancy র কথা ভাবুন।

৪) বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে তার অন্তত ৩ মাস আগে থেকে Folic acid খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ ফলিক অ্যাসিডের অভাবে শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

৫) সাধারণত যদি কোনো দম্পতি কোনো contraception ছাড়াই শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন তাহলে ৮০% দম্পতি সফল হন ১ বছরের মধ্যে। আর এর মধ্যেও স্বাভাবিকভাবে pregnancy না এলে চিকিৎসা করলেই স্বপ্নপূরণ সম্ভব।

# indranil

Leave a comment